জিকা ভাইরাস: জরুরী অবস্থা ঘোষনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান

জিকা ভাইরাসে মস্তিষ্কে ত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মের হার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটি বলছে, মশাবাহিত এই রোগটির সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।

গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেই ছোট আকারের মস্তিষ্ক নিয়ে চার হাজারের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে।

জিকা ভাইরাসের প্রকোপ লাতিন আমেরিকা থেকে খুব দ্রুতই আরো বহু দুর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শিশু

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শিশু

রোগটি এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে যে দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকায় এ বছর ৪০ লাখের মতো মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাই এই রোগটিকে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলার মতো বড় মাত্রার প্রাদুর্ভাব হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যন আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বিশ্বব্যাপী এক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

মিজ চ্যান বলছেন, পরিস্থিতি আরো সংকটময় হয়ে ওঠার আগেই সমন্বিত কর্মপ্রক্রিয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।

সমন্বিতভাবে আগে ভাগে সতর্ক হলে ঝুঁকি কমানো সহজ হবে, বলছিলেন মিজ চ্যন।

জ্বরে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে

ছবির উৎস, EPA

ছবির ক্যাপশান, জ্বরে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে

জরুরী অবস্থা ঘোষণার ফলে এসম্পর্কিত সাহায্য ও গবেষণাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

জিকা ভাইরাস থেকে সৃষ্ট মাইক্রোসেফালি রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র গত চার মাসে শুধু ব্রাজিলেই চার হাজারের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে।

যাদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারের।

প্রায় ৭০ বছর আগে রোগটির অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও এর প্রকোপ কখোনোই এতটা বেশি ছিলো না।

আর তাই জিকার সাথে মাইক্রোসেফালির সম্পর্ক কতটা সে নিয়ে তেমন কোন গবেষণাও নেই।